আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

বাংলাদেশ

ইলিশ আহরণে ছাড়াবে রেকর্ড, অপেক্ষা আর দু-একদিন

ইলিশ আহরণে ছাড়াবে রেকর্ড, অপেক্ষা আর দু-একদিন
ইলিশ আহরণে ছাড়াবে রেকর্ড, অপেক্ষা আর দু-একদিন

সমুদ্রে ইলিশ মাছ ধরার ওপর আরোপিত দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে প্রায় এক সপ্তাহ হলো। বঙ্গোপসাগরে ইলিশ শিকারে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলেরা। দু-একদিনের মধ্যেই ট্রলারভর্তি মাছ নিয়ে ফিরে আসবেন তারা। জেলেদের ফিরে আশার অপেক্ষায় আছেন আড়তদার, মহাজন এবং জেলে পরিবারের লক্ষাধিক সদস্য।

অভিজ্ঞতার আলোকে মৎস্য বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, এবার জেলেদের জালে বেশি এবং বড় আকারের ইলিশ ধরা পড়বে। কারণ এ বছর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে টানা ৬৬ দিন বরিশাল-ঢাকা নৌপথে বন্ধ ছিল লঞ্চ চলাচল। নদীর তীরবর্তী অনেক শিল্পকারখানাও বন্ধ ছিল এ সময়। ফলে বাতাসে দূষণের মাত্রা কমে যায়। যান্ত্রিক নৌযান চলাচল এবং বেশিরভাগ শিল্পকারখানা বন্ধ থাকায় বরিশাল বিভাগের নদ-নদীর পানিও অনেক কম দূষণ হয়। এসব কারণে সাগরেও দূষণ কমে। অনেকটা অবাধে নদ-নদী ও সমুদ্রে বিচরণ করতে পারে ইলিশ। পাশাপাশি বেড়ে ওঠার পর্যাপ্ত সময়ও পায়। তাই এবার ইলিশের বংশবৃদ্ধি অতীতের সব রেকর্ড ছাড়াবে— এমনটি মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সাগরের আবহাওয়াও এ বছর বেশ ভালো রয়েছে। বৃষ্টি হওয়া এবং তাপমাত্রা ৩০ থেকে ৩৫ ডিগ্রির আশপাশে থাকার মানে হলো, জালে ইলিশ ধরা পড়ার আদর্শ আবহাওয়া। এসব দিক বিবেচনা করে ইলিশ উৎপাদনে আশার আলো দেখছেন বাংলাদেশ মৎস্য অধিদফতর, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং মাছবিষয়ক সংস্থাগুলোর গবেষক ও জেলেরা।

তাদের তথ্য অনুযায়ী, এবার ইলিশের উৎপাদন ছাড়িয়ে যাবে অতীতের সব রেকর্ড।

উপকূলের নদ-নদীতে ইলিশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় দেশের আট জেলায় ‘ইকো ফিশ’ নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে মৎস্য অধিদফতর। এর আওতায় ইলিশের বংশবিস্তার, প্রজননকাল নির্ধারণসহ নানা দিক নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে। ‘ইকো ফিশ’ প্রকল্পের সহযোগী গবেষক বলরাম মহালদার বলেন, ‘জেলে, যান্ত্রিক নৌযান ৬৬ দিন বন্ধ এবং লকডাউনের কারণে তখন বায়ুর পাশাপাশি জলও হয়ে উঠেছিল নির্মল। দূষণের মাত্রাও কমে গিয়েছিল। এই দূষণমুক্ত পরিবেশ ইলিশদের বংশ বিস্তারে সহায়ক হয়েছে। নির্বিঘ্নে সাঁতার কেটেছে মাছেদের দল। দূষণ কমেছে সাগরের জলেও। তাই প্রজননের ঋতুতে মিষ্টি ও দূষণহীন জল পেয়ে ইলিশের ঝাঁক বেশি আসবে। গত বছরের চেয়ে এবার বেশি ইলিশ উৎপাদন হবে বলে আশা করছি। তাই, লকডাউন বেশকিছু মানুষের কাছে অভিশাপ হলেও ইলিশ শিকারীদের কাছে আশীর্বাদ হতে পারে।’

ইলিশের এই গবেষক আরও বলেন, এখন নিম্নচাপের কোনো সতর্কবার্তা নেই। সেজন্য মৎস্যজীবীরা গত ২৩ জুলাই গভীর রাত থেকেই সমুদ্রের দিকে যেতে শুরু করেন। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে দু-তিনদিনের মধ্যেই বাজারে চলে আসবে বঙ্গোপসাগরের রুপালি ইলিশ। আমরা আশাবাদী, মৎস্যজীবীরা এবার বড় সাইজের এবং প্রচুর পরিমাণ ইলিশ ধরে ফিরবেন।

ইলিশ আহরণে ছাড়াবে রেকর্ড, অপেক্ষা আর দু-একদিন
ইলিশ আহরণে ছাড়াবে রেকর্ড, অপেক্ষা আর দু-একদিন

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার আলিপুর-মহিপুর বেসরকারী মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের আড়তদার শাহ আলম জানান, সাগরে দুই মাস মাছ ধরা বন্ধ ছিল। বেকার হয়ে পড়েছিল মৎস্যজীবী ও বন্দরের কয়েক হাজার শ্রমিক। তবে ২৩ জুলাই রাত থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে। ইঞ্জিনচালিত নৌযান নিয়ে সাগরে মাছ শিকারে গেছেন কয়েক হাজার জেলে। এখন তাদের ফেরার অপেক্ষা শুধু।

আড়তদার শাহ আলম জানান, উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে অন্তত ১০০ আড়ত আছে। লাভের আশায় মৎস্য খাতে লাখ লাখ টাকা লগ্নি করেছেন এখানকার শত শত আড়তদার-মহাজন। পাশাপাশি মৎস্যজীবী ও বন্দরের কয়েক হাজার শ্রমিকের পরিবার তাদের জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। সবার একটাই আশা, ট্রলারভর্তি করে জেলেরা ইলিশ নিয়ে ফিরবেন।

আড়তদার শাহ আলম বলেন, সাগরে ইলিশ শিকারে যাওয়া কয়েকজন জেলের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ সম্ভব হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, দু-তিন ধরে তারা সাগরে জাল ফেলে প্রচুর ইলিশ পাচ্ছেন। ইলিশ নিয়ে দু-একদিনের মধ্যেই তারা ফিরবেন।

মৎস্য অধিদফতরের বরিশাল জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস জানান, সাগরে নির্দিষ্ট সময় মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন, অভয়াশ্রমগুলোতে জাটকা ধরা বন্ধ এবং নিষিদ্ধ সময়ে মা ইলিশ ধরা বন্ধের কারণে ইলিশের উৎপাদন দিনে দিনে বেড়েছে। তবে এবার করোনার কারণে টানা ৬৬ দিন বরিশাল-ঢাকা নৌপথে বন্ধ ছিল লঞ্চ চলাচল। দেশের ছয়টি অভয়াশ্রমের চারটি বরিশাল বিভাগে। ওই সময়ে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় অভয়াশ্রম চারটিসহ বিভাগের বিভিন্ন নদ-নদীতে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ অবাধে বিচরণ করতে পেরেছে। পাশাপাশি লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় পানিতে দূষণ কমেছে। সাগরেও দূষণ কমেছে। এতে ইলিশের বংশবিস্তার ও প্রজননসহ সবকিছুই বাড়বে বলে ধারণা করছি।

‘শুধু তাই নয়, হারিয়ে যাওয়া দেশীয় প্রজাতির অনেক মাছই আবার নতুন করে নদীতে ফিরে এসেছে। অভিজ্ঞতা বলছে, এবার বেশি ইলিশ পাওয়া যাবে। আমাদের ধারণা ইলিশ উৎপাদনে এবার বিগত দিনের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।’

ড. বিমল চন্দ্র দাস জানান, কয়েক বছর ধরেই দেশের মোট ইলিশের ৬৬ ভাগের বেশি আহরিত হচ্ছে বরিশাল বিভাগ থেকে। এ বিভাগ থেকে গতবার আহরিত হয়েছিল তিন লাখ ৩২ হাজার ২৫ মেট্রিক টন। বরিশাল বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইলিশের জোগান দেয় ভোলা, বরগুনা ও পটুয়াখালী। বিভাগে জেলের সংখ্যা তিন লাখ ৫২ হাজার ৭২৪ জন। এর মধ্যে প্রায় দুই লাখ জেলের বসবাস ভোলা, বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলায়। ওই তিন জেলার বেশির ভাগ জেলে সাগর মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর প্রায় ১০ হাজার ইঞ্জিনচালিত নৌযানে সাগরে গেছেন অর্ধ লক্ষাধিক জেলে। এখন তাদের ইলিশ নিয়ে ফেরার পালা। এছাড়া ট্রলারমালিক, শ্রমিক ও পাইকারসহ মৎস্য ব্যবসা সংশ্লিষ্ট কয়েক লাখ মানুষের আয়ের অন্যতম উৎস ইলিশ ঘিরেই। তাই ইলিশ উৎপাদন বেশি হলে এর সুফল পাবেন তারা।

ইলিশ আহরণে ছাড়াবে রেকর্ড, অপেক্ষা আর দু-একদিন
ইলিশ আহরণে ছাড়াবে রেকর্ড, অপেক্ষা আর দু-একদিন

বরিশাল পোর্টরোড আড়তদার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অজিত কুমার দাস মনু জানান, মোকামে ইলিশের সরবারহ বেড়েছে। দুই সপ্তাহ আগে প্রতিদিন গড়ে ২৫০ মণের মতো ইলিশ আমদানি হতো। সেখানে গত এক সপ্তাহে ইলিশ আমদানি প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত ৪৫০ মণের বেশি ইলিশ আমদানি হয়েছে। তবে সাগরের ইলিশ এখনও আসতে শুরু করেনি। সাগর থেকে জেলেরা ফিরতে শুরু করলে প্রতিদিন হাজার হাজার মণ ইলিশ আমদানির আশা করছি।

তিনি আরও জানান, ইলিশের মৌসুম কেবল শুরু হয়েছে। তবে উজানে নদ-নদীতে প্রচুর স্রোত বইছে সাগরের দিকে। স্রোতের বাধার কারণে ইলিশ নদীতে আসতে পারছে না। এ কারণে নদ-নদীতে ইলিশ তেমন মিলছে না। সাগরের মোহনায় ইলিশ মিলছে। সামনে পূর্ণিমার জো। এরপর থেকে নদ-নদী ও সাগরে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে বলে আশা করছি। তখন দামও কমে যাবে।

দামের বিষয়ে অজিত কুমার দাস মনু জানান, বৃহস্পতিবার পোর্ট রোড মোকামে দেড় কেজি সাইজের ইলিশের মণ বিক্রি হয়েছে ৪৫ হাজার টাকায়। সে হিসাবে প্রতি কেজি ইলিশের পাইকারি দাম পড়ে এক হাজার ১২৫ টাকা। এক কেজি সাইজের ইলিশের মণ বিক্রি হয়েছে ৩৬ হাজার টাকায়। সে হিসাবে প্রতি কেজির দাম পড়েছে ৯০০ টাকা। রফতানিযোগ্য এলসি আকারের (৭০০ থেকে ৯০০ গ্রাম) প্রতি মণ ২৮ হাজার টাকা। সে হিসাবে প্রতি কেজি ইলিশের পাইকারি দাম পড়ে ৭০০ টাকা। হাফ কেজি বা ভেলকা আকারের (৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম) ২৪ হাজার টাকা। কেজিপ্রতি এই ইলিশের পাইকারি দাম পড়ে ৬০০ টাকা। গোটরা আকারের (২৫০ গ্রাম থেকে ৩৫০ গ্রাম) প্রতি মণ ১৬ হাজার টাকা, কেজিপ্রতি পাইকারি দাম দাঁড়ায় ৪০০ টাকায়। জাটকা প্রতি মণ পাইকারি বিক্রি হয়েছে ১৪ হাজার টাকায়। সে হিসাবে প্রতি কেজি জাটকার পাইকারি দাম পড়ে মাত্র ৩৫০ টাকা।

মৎস্য অধিদফতর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক আজিজুল হক জানান, নিরাপদ প্রজননে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ায় প্রতি বছরই ইলিশের উৎপাদন বাড়ছে। দেশে এবার এক লাখ মেট্রিক টন ইলিশ বেশি আহরণের সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে বরিশাল বিভাগেই ৬০ থেকে ৭০ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ বেশি আহরিত হবে বলে আশা করছি।

সাগর কিংবা নদী, যেখানেই ধরা পড়ুক না কেন, এই মৌসুমে ইলিশ উৎপাদন বাড়বে জানিয়ে আজিজুল হক আরও বলেন, দেশে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মোট ইলিশ আহরিত হয় পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ১৮৮ মেট্রিক টন। চলতি অর্থবছরে তা আরও বাড়বে। ধারণা করা হচ্ছে, এ বছর ইলিশ উৎপাদনে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। দেশে এবার ছয় লাখ মেট্রিক টনের বেশি ইলিশ আহরিত হবে বলে আশা করছি।

  • ইলিশ আহরণে ছাড়াবে রেকর্ড, অপেক্ষা আর দু-একদিন

    ইলিশ আহরণে ছাড়াবে রেকর্ড, অপেক্ষা আর দু-একদিন

  • ইলিশ আহরণে ছাড়াবে রেকর্ড, অপেক্ষা আর দু-একদিন

    ইলিশ আহরণে ছাড়াবে রেকর্ড, অপেক্ষা আর দু-একদিন

  • ইলিশ আহরণে ছাড়াবে রেকর্ড, অপেক্ষা আর দু-একদিন

    ইলিশ আহরণে ছাড়াবে রেকর্ড, অপেক্ষা আর দু-একদিন

  • ইলিশ আহরণে ছাড়াবে রেকর্ড, অপেক্ষা আর দু-একদিন
  • ইলিশ আহরণে ছাড়াবে রেকর্ড, অপেক্ষা আর দু-একদিন
  • ইলিশ আহরণে ছাড়াবে রেকর্ড, অপেক্ষা আর দু-একদিন
বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

এগ্রোবিজ

পতিত জমিতে চিনাবাদাম চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষক

মেহেরপুর: পতিত ও অনুর্বর বেলে মাটির জমিতে চিনাবাদাম চাষ করে লাভবান হচ্ছেন মেহেরপুরের চাষিরা। ফলন ও বাজার দর ভালো এবং কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় দিন দিন এই এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বাদামের চাষ। 

সদর উপজেলার মদনাডাঙ্গা, শ্যামপুর, টেংগারমাঠ ও গোপালপুর গ্রামের অধিকাংশ জমির মাটি বেলে। ফলে এই এলাকার চাষিরা ধান, গম, পাটসহ অন্যান্য ফসল আবাদ করে খুব একটা লাভবান হতে পারেন না।

ধান কাটার পর এ সব জমি সাধারণত পতিত থাকে। এজন্য ৯০ দিনের ফসল হিসেবে অল্প খরচে বাদাম চাষ করছেন এলাকার চাষিরা।  

মেহেরপুর জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় এবার বাদাম চাষ হয়েছে ১৫ হেক্টর জমিতে। এবার এক বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করতে চাষিদের খরচ হয়েছে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা সেক্ষেত্রে বাদামের ফলন হয়েছে ৬ থেকে ৭ মণ। আর এ  ফলনে প্রায় ২০ হাজার টাকা ঘরে তুলছেন তারা। বাজারে প্রতিমণ বাদাম বিক্রি হচ্ছে ২৭শ’ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত।  সদর উপজেলার মদনাডাঙ্গা গ্রামের বাদাম চাষি খাঁজা আহমেদ, কাওছার আলী ও ফিরোজ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, এলাকার মাটি বেলে হওয়ায় সাধারণত সবজি, আলু ও অন্যান্য ফসল চাষ করার পর জমি পতিত থাকে। সে সময়ে চিনা বাদামের চাষ করা হয়। বাদাম চাষে খরচ কম এবং উৎপাদন ও বাজার দর ভাল। তাই দিন দিন চাষিরা তাদের পতিত জমিতে চিনা বাদামের চাষ শুরু করছেন।  

এছাড়া বাদাম ছাড়ানো, শুকানোসহ যাবতীয় কাজ করে থাকেন এখানকার নারীরা। বাদামের গাছ আবার শুকিয়ে জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করছেন গৃহিণীরা।  

নারী শ্রমিক সাহানা খাতুন ও জরিমন নেছা বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বাদাম ছাড়ানো ও শুকানোর কাজ করে থাকি। এলাকার ২৫/৩০ জন নারী শ্রমিক এ কাজ করে আসছেন।  
গৃহিণী সাজেদা খাতুন ও জামেলা খাতুন জানান, বাদামের লতা জালানি হিসেবে বেশ ভাল। তাই লতাও বিক্রি হচ্ছে।

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. আক্তারুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, চিনা বাদামের চাষ সাধারণত পতিত জমিতে হয়ে থাকে। এলাকার চাষিরা এই জমিতে বাদামের চাষ করে বাড়তি আয় করছেন। তাই বাদাম চাষ যাতে আরও সম্প্রসারিত হয় সেজন্য কৃষি বিভাগ চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছে।  

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

এগ্রোবিজ

সিলেটে বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষের সম্ভাবনা

সিলেট বিভাগের উচ্চমাত্রার অ্যাসিডিক জমিতে গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধাসহ বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষে ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কৃষি বিজ্ঞানিরা মৌলভীবাজারের আকবরপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে পরীক্ষামূলকভাবে ফুল চাষ করে সফল হয়েছেন। এ ফুল চাষ মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে ১০০ চাষিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে কৃষি গবেষণা কেন্দ্র।

কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের তথ্যমতে, যশোরে বাণিজ্যিকভাবে গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধাসহ বিভিন্ন ধরনের ফুল চাষ হয়। যার বাজার দর প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা। যশোরের ফুল সারাদেশের পাশাপাশি সিলেটেও আসে প্রচুর। সিলেটে ফুলের বাজার শত কোটি টাকার উপরে। কিন্তু সিলেটে ফুলের চাষ বাণিজ্যিকভাবে হয় না।

সিলেট বিভাগের মাটি অ্যাসিডিক হওয়ায় ফুল চাষ করা যাবে না, সেটাই ছিল প্রচলিক ধারণা। কিন্তু এ ধারণাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যদিয়ে ভুল প্রমাণ করেছেন মৌলভীবাজার আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের একদল গবেষক। মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এস এম শরিফুজ্জামানের নেতৃত্বে উচ্চমাত্রার অ্যাসিডিটিক জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে ফুল চাষ করে সফল হয়েছেন তারা। এ পরীক্ষামূলক চাষে ফলনও হয়েছে ভালো। তাই সিলেট অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেট অঞ্চলে অনেক জায়গা অনাবাদি ও পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। প্রবাসীরা দেশের বাইরে অবস্থান করায় তাদের অনেক জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকে। এ জমিকে আবাদের আওতায় আনতে বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষের উদ্যোগ নিয়ে আগ্রহী ১০০ চাষিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে আমন ধান কাটার পর এ অঞ্চলের অনেক জমি পতিত থাকে। ফলে ফুল চাষ করে অনাবাদি জমি থেকে কোটি টাকা উপার্জন সম্ভব।

বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মিরানা আক্তার সুমি জানান, চাষিরা প্রশিক্ষণ শেষে অনেক কিছু শিখেছেন। কী পদ্ধতিতে চাষাবাদ করতে হয়, তা জেনেছেন। ধানের চেয়ে যেহেতু ফুলের দাম বেশি, তাই ফুল চাষে তাদের আগ্রহ বাড়ছে।

ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. সরফ উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘ভালোভাবে জমি চাষ করে নির্দেশিত মাত্রায় জৈব ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হয়। অন্য ফসলের মতোই এর চাষ পদ্ধতি সহজ। বেড তৈরি করে ফুল চাষ করতে হয়। প্রতিটি বেডের দৈর্ঘ যে কোন মাপের হতে পারে। তবে প্রস্থে ১.২-১.৫ মিটার হলে ভালো।’

তিনি বলেন, ‘কলম (বীজ) লাগানো থেকে তিন মাস পর স্টিক সংগ্রহ শুরু হয়। সংগ্রহ করা যাবে পরবর্তী ২৫ দিন। গ্লাডিওলাস ৫টি জাতসহ মোট ১২টি প্রজাতির ফুলের পরীক্ষা করে আমরা সফল হয়েছি।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

জৈব

জৈব পদ্ধতিতে ফসলের রোগ পোকা নিয়ন্ত্রণ

সবুজ বিপ্লবের সময়ে পেস্টিসাইড ব্যবহারকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জীব বৈচিত্র্য, মাটির স্বাস্থ্য ও ফসলের গুণমানতা। এখন ভেবে দেখার সময় এসেছে, এত রাসায়নিক পেস্টিসাইড ব্যবহার করা কি ঠিক হচ্ছে? এ প্রশ্ন শুধু ভারতে নয়, সারাবিশ্বের কৃষকসমাজ ও শস্যবিজ্ঞানীদের কাছে। তাই মনে হয় জৈব নিয়ন্ত্রণকে গুরুত্ব দিয়ে সুসংহত রোগ পোকা নিয়ন্ত্রণ আগামী দিনে একমাত্র সমাধানের রাস্তা হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে।

চলমান খরিফ মরসুমে আমাদের রাজ্যে প্রধানত ধান, খরিফ পেঁয়াজ, জুট, ইক্ষু, তিল ইত্যাদি ফসলের চাষ হয়ে থাকে। এ রাজ্যে ধানে ঝলসা রোগের আক্রমণ একটি গুরুতর বিষয়।

জৈব পদ্ধতিতে এই রোগ দমন করার একটি সহজ উপায় রয়েছে। ৫০ মিলিলিটার কেরোসিন তেলে ৮৫ গ্রাম থেঁতলানো রসুন মিশিয়ে ২৪ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। এরপর ৯৫০ মিলি. জল ও ১০ মিলি. তরল সাবান মিশিয়ে ভালোভাবে নেড়ে নিয়ে বোতলে রেখে দিতে হবে। ১৯ লিটার জলের সাথে ১ ভাগ মিশ্রণ মিশিয়ে সকালে/বিকেলে স্প্রেয়ার দিয়ে আক্রান্ত গাছে স্প্রে করতে হবে।

এই মিশ্রণটি আমেরিকান বোল ওয়ার্ম, আর্মি ওয়ার্ম, পেঁয়াজ-এর চিরুনি পোকা, আলুর টিউবার মথ, রুট নট নিমাটোড (কৃমি), আখের কাণ্ড ছিদ্রকারী পোকা, ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ, ডাউনি মিলডিউ ও ধানের ঝলসা রোগ প্রতিরোধে খুবই কার্যকরী।

এছাড়া বিভিন্ন ধরণের পাতা খেকো পোকা ও জাব পোকা নিয়ন্ত্রণে ১ কেজি পেঁয়াজ থেঁতো করে ১ লিটার জলের সাথে মিশিয়ে ২৪ ঘণ্টা রেখে দেবার পর কচলিয়ে রস নিংড়ে নিতে হবে। প্রাপ্ত নির্যাসের সাথে ১০ লিটার জল মিশিয়ে আক্রান্ত ফসলে স্প্রে করতে হবে।

জৈব সার প্রয়োগ ও জৈব কীটনাশক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফসলের উৎপাদন খরচ শতকরা ২৫-৩০ শতাংশ হ্রাস করা সম্ভব। উচ্চ পুষ্টিমানসম্পন্ন প্রযুক্তিতে উৎপাদিত জৈব সার, শাকসব্জী ও অন্যান্য ফসলের প্রয়োজনীয় নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশিয়াম-এর সাথে অণুখাদ্যের যোগান দেয়।

জৈব পদ্ধতিতে উৎপন্ন কীটনাশক ও ছত্রাকনাশকগুলি ফসলে কোনওরকম দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ব্যতিরেকে, পোকা ও রোগ দমনে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এতে মাটির স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও উর্বরতা দীর্ঘমেয়াদী হয়। উৎপাদিত ফসল হয় স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ।

বন্ধুপোকা মাকড়ের (পরজীবি ও পরভোজী) সংরক্ষণের জন্য জমির পাশে অব্যবহৃত জায়গায় ত্রিধারা, উঁচুটি, শালিঞ্চে ইত্যাদি আগাছা জাতীয় গাছের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।

দূরদর্শী পদক্ষেপের মাধ্যমে রাসায়নিক কৃষি বর্জন করে প্রাণ বৈচিত্র্য নির্ভর জৈব কৃষির মাধ্যমে খাদ্যে সার্বভৌমত্ব আনা সম্ভব। তাই জৈব কৃষির পথে ধীরে ধীরে অগ্রসর হয়ে কৃষিবিষমুক্ত, স্বাস্থ্যসম্মত সমাজ গড়ে তোলাই বাঞ্ছনীয়।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

এগ্রোবিজ

টি ব্যাগের ব্যবসা করে আয় করুন প্রচুর অর্থ

চা পানীয়টি আমাদের দেশে খুবই জনপ্রিয় একটি পানীয়। প্রিয়জনের সাথে বৈঠক থেকে শুরু করে সারাদিনের ক্লান্তি দূর করা সবেতেই চা (Tea) আমাদের নিত্যসঙ্গী। তবে এখন মানুষ আগের তুলনায় অনেক বেশী স্বাস্থ্য সচেতন। সাধারণ চায়ের জায়গায় এসেছে, গ্রীণ টি, হার্বাল টি, লেমনগ্র্যাস টি, ব্লু টি ইত্যাদি। আর প্রকারভেদের সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে টি ব্যাগের গুরুত্ব। কারণ এটি খুব অল্প সময়ে তৈরি করা যায় এবং যে কোন স্থানে এর থেকে চা বানানো যায়। অফিস ও হোটেলগুলিতে এর যথেষ্ট চাহিদাও রয়েছে। তাই টি ব্যাগ তৈরীর ব্যবসাটি হয়ে উঠতে পারে আপনার জন্য লাভদায়ক।

চা উৎপাদনকারী দেশ গুলির মধ্যে অংশ নেয় চীন, ভারত , কেনিয়া , শ্রীলঙ্কা , জাপান , ইন্দোনেশিয়া , ভিয়েতনাম, তানজেনিয়া , মালয়, বাংলাদেশ, তার্কী এবং চা পানকারী দেশ গুলির মধ্যে ইংল্যান্ড, জর্মানী, কানাডা ও আমেরিকার বেশ নাম রয়েছে।

এ কারণে বেশিরভাগ সংস্থা টি ব্যাগ বিক্রি শুরু করেছে। আপনি যদি নতুন ব্যবসা করার পরিকল্পনা করে থাকেন, তবে আপনি টি ব্যাগ মেকিং ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এটির মাধ্যমে আপনি খুব ভাল অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। যিনি তৈরী করেন, তার থেকে নিয়ে এসে আপনি বাইরে বিক্রি করতে পারেন, এতে আপনার বিনিয়োগের দরকার পড়বে না। কিন্তু যদি বেশী লাভ করতে চান, তবে বিনিয়োগ করে নিজের ব্যবসা শুরু করুন।

টি ব্যাগ ব্যবসা শুরু করার জন্য জায়গা (How to start) –

এটি শুরু করার জন্য আপনি কোনও জায়গা ভাড়া নিতে পারেন। আপনার নিজের জমি থাকলে ব্যবসার জন্য সুবিধা হবে। এমন জায়গা চয়ন করুন, যেখানে মানুষের সমাগম রয়েছে। টি ব্যাগ তৈরীর জন্য আপনাকে মেশিন ইনস্টল করতে হবে।

চা ব্যাগ ব্যবসায় বিনিয়োগ –

আপনি যদি বড় আকারে ব্যবসা শুরু করতে চান, তবে আপনাকে বেশী অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে। এর মেশিনটি যথেষ্ট ব্যয়বহুল, সুতরাং বেশী পরিমাণ রাশি বিনিয়োগের দরকার রয়েছে এই ব্যবসায়, তবে আপনি যদি ব্যাংক থেকে লোণ নেন, তবে আপনি ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

চা ব্যাগ তৈরিতে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল –

ফিল্টার পেপার –

এর ভিতরে চায়ের পাতা স্টোর করতে হবে। এই কাগজটি সুক্ষ ছিদ্রযুক্ত এবং পাতলা, পাশাপাশি সহজে ভিজে যায় না, তাই এই কাগজটি চা ব্যাগ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

চা পাতা –

আপনি যেমন প্রকারের ব্যাগ বিক্রি করতে চান, তেমন চা পাতা কিনতে হবে।

বিভিন্ন প্রকারের চা –

সাধারণ চা, গ্রীণ টি, উলং টি, ব্ল্যাক টি, হার্বাল টি

চা ব্যাগগুলিতে চা পাতা পূরণ করার প্রক্রিয়া –

চা ব্যাগ তৈরীর মেশিনের সাহায্যে প্রস্তুত চা পাতাগুলি ফিল্টার পেপারে পূরণ করতে হয়। সাধারণত প্রায় ২-৪ আউন্স চা পাতা একটি টি ব্যাগে ভরা হয়। এর পরে, একটি প্যাকিং মেশিনের সাহায্যে ব্যাগটি সিল করা হয়। টি ব্যাগের সাথে একটি সুতো সংযুক্ত থাকে।

চা ব্যাগ ব্যবসায় থেকে লাভ –

আপনি চায়ের পাতার গুণমান অনুযায়ী ব্যাগের দাম নির্ধারণ করতে পারেন। এই ব্যবসা থেকে খুব ভাল লাভ করা যায়। এর আরও বিক্রয়ের জন্য, আপনি বাজারে পাইকারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এগুলি ছাড়াও আপনি হোটেল বা অফিসের লোকের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এই ব্যবসা আপনাকে মাসে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন দিতে পারে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

ছাদকৃষি

সহজ পদ্ধতিতে টবে করুন কদবেল চাষ

ছেলে থেকে বুড়ো সবারই প্রিয় টক ঝাল কদবেল। কদবেলের আচার, কদবেল মাখা সকলেরই অত্যন্ত পছন্দের। যারা বাগান করতে পছন্দ করেন, বিশেষত টবে, তাদের জন্য কদবেল এক আদর্শ ফল। কদবেলের আকার অনেকটা টেনিস বলের মতো। শরতের শুরুতে কদবেল বাজারে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এই ফলের মন মাতানো স্বাদ বিশেষ করে মহিলাদের ভীষণই পছন্দের।

টবে কদবেল চাষের পদ্ধতি (Farming Process)

মন কাড়া স্বাদের জন্য পাকা কদবেল সবার কাছেই অত্যন্ত প্রিয়। কদবেল গাছে ফুল আসে মার্চ-এপ্রিল মাস নাগাদ। তবে ফল পাকতে সময় লাগে সেপ্টেম্বর-অক্টবর। টবে রোপনের জন্য কদবেলের কলমের চারা বেশি ভালো। কলমের চারা থেকে কয়েক বছরের মধ্যে ফুল-ফল ধরে। ছাদের টবে এই গাছের চাষ সহজেই করা যায়। জোড় কলম করে এর কলম তৈরি করা যায়। এ গাছের চাষাবাদ অনেকটা বেলের মতোই।

মাটি তৈরি (Land Preparation)

হাফ ড্রামে অথবা টবে পাঁচ সেন্টিমিটার পুরু করে ইটের খোয়া বিছিয়ে তার ওপর ১০ সেন্টিমিটার বালির স্তর দিতে হবে। ড্রামের তলার দিকে জল বার করে দেওয়ার জন্য ছিদ্র রাখতে হবে। এবার তিন ভাগ দো-আঁশ মাটির সাথে দুই ভাগ গোবর সার, ড্রামপ্রতি ২০০ গ্রাম এমওপি (পটাশ) সার, ২৫০ গ্রাম টিএসপি (ফসফেট) সার, ১ কেজি হাড়ের গুঁড়ো, ৫০ গ্রাম জিপসাম সার, ২০ গ্রাম ম্যাগেনেসিয়াম সালফেট (ম্যাগসাল) সার ও ১০ গ্রাম দস্তা সার মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে ড্রামে বা টবে ভরে হালকা করে জল দিয়ে মাটি ভিজিয়ে এক থেকে দুই সপ্তাহ রেখে দিতে হবে।

ড্রাম বা টবের ঠিক মাঝখানে কদবেলের কলম বসিয়ে কলমের গোড়ার মাটি শক্ত করে চেপে দিতে হবে। কলম লাগানোর পর গাছের গোড়ায় জল দিতে হবে। সোজা ভাবে কলম রাখতে গেলে, গোড়ার কাছাকাছি কাঠি পুঁতে তার সাথে কলম বেঁধে দিলে ভালো। শীতকাল ছাড়া বছরের যেকোনও সময় কদবেলের কলম লাগানো যায়। ছাদের ওপর রোদের মধ্যে কদবেলের গাছ রাখা উচিত। এতে গাছের ভালোই হবে।

ফলন এবং পরিচর্যা (Caring)

কলমের গাছে ফুল ফাল্গুন-চৈত্র মাসে নাগাদ আসে। শরৎকালে ফল পেকে যায়। ডালপালা ফল সংগ্রহ করার সময় কিছু ছেঁটে দেওয়া উচিত। এর ফলে পরের বছর ফলন ভালো হবে। কদবেল গাছে ফুল-ফল ভালো আনার জন্য প্রতি বছর ফল তোলা শেষ হলে গাছের গোড়ার মাটিতে ড্রামপ্রতি ১৫০ থেকে ২৫০ গ্রাম ইউরিয়া সার, ১০০ গ্রাম এমওপি সার, ১০০ গ্রাম টিএসপি সার দুই কেজি প্যাকেটের কম্পোস্ট সারের সাথে মিশিয়ে গোড়ার মাটি নিড়িয়ে তার সাথে মিশিয়ে সেচ দিতে হবে।

গাছের বৃদ্ধি ভালো হলে বছরে একবার সার দিলে হবে না। বর্ষাকালের আগেও ঠিক একই ভাবে পুনরায় সার দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে টব বা ড্রামের মাটি যাতে না শুকিয়ে যায়। টবের মাটি কখনো শুকিয়ে গেলে নিয়ম করে সেচ দিয়ে নিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@theagronews.com, theagronewsbd@gmail.com